Laxmi Panchali in Bengali | দোল পূর্ণিমা নিশি নির্মল আকাশ – লক্ষ্মীর পাঁচালী PDF [FREE Download]

শ্রী শ্রী লক্ষ্মী দেবীর ব্রতকথা ( Laxmi Panchali in Bengali ) প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীর পাঁচালী পাঠ করলে মা লক্ষ্মীর অসীম কৃপায় সংসারে সুখ, ঐশ্বর্য, সমৃদ্ধি লাভ হয় । সেই কারণেই মহিলারা সংসারে মা লক্ষ্মী কৃপা লাভ করতে প্রতি বৃহস্পতিবার ঘরে লক্ষ্মী পূজা ও পূজা শেষে লক্ষ্মীর পাঁচালী (lokkhi panchali) পাঠ করে থাকেন।

Laxmi Panchali in Bengali
Laxmi Panchali in Bengali

আজ আপনাদের জন্য দেওয়া হলো সম্পূর্ণ লক্ষ্মীর পাঁচালী (lokkhi panchali) এবং দোল পূর্ণিমা নিশি নির্মল আকাশ – লক্ষ্মীর পাঁচালী PDF (Laxmi Panchali in Bengali ) নিচে দেওয়া হলো। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

Laxmi Panchali in Bengali । লক্ষ্মীর পাঁচালী । শ্রী শ্রী লক্ষ্মী দেবীর ব্রতকথা

শ্রী শ্রী লক্ষ্মীদেবীর ধ্যান – ওঁ পাশাক্ষমালিকান্তোজ সৃণিভিষযাম্যসৌমায়াে। পদ্মনাস্থাং ধ্যায়েচ্চ শ্রিয়ং ত্রৈলােক্যমাতরম।। গৌরবর্ণাং সুরূপাঞ্চ সর্ব্বলঙ্কার ভূষিতাম। রৌক্মপদ্ম-ব্যগ্রকরাং বরদাং দক্ষিণেন তু ৷৷

শ্রী শ্রী লক্ষ্মীদেবীর পূজা মন্ত্রঃ – শ্রীং লক্ষ্মীদেব্যৈ নমঃ।

শ্রী শ্রী লক্ষ্মীদেবীর পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্রঃ – নমন্তে সর্বদেবানাং বরদাসি হরিপ্রিয়ে। যা গতিস্তৎ প্রপন্নানাং সা মে ভূয়াত্বদর্চনাৎ।।

শ্রী শ্রী লক্ষ্মীদেবীর প্রণাম মন্ত্রঃ– ওঁ বিশ্বরূপস্য ভার্য্যাসি পদ্মে পদ্মালয়ে শুভে।সর্ব্বতঃ পাহি মাং দেবি মহালক্ষ্মী নমােহস্তুতে।। 

শ্রী শ্রী লক্ষ্মীদেবীর স্তবঃ–  ত্রৈলােক্য পূজিতে দেবি কমলে বিষ্ণুবল্লভে। যথা তুং সুস্থিরা কৃষ্ণে তথা ভব ময়ি স্থিরা। ঈশ্বরী কমলা লক্ষ্মীশ্চলা ভূতিহরিপ্রিয়া। পদ্ম-পদ্মালয়া সম্পদপ্রদা শ্রীঃ পরধারিণী। দ্বাদশৈতানি নামানি লক্ষ্মীং সম্পূজ্য যঃ পঠেৎ। স্থিরা লক্ষ্মীভবেস্তস্য পুত্রদারদিভিঃ সহ।।

Laxmi Panchali in Bengali
Laxmi Chalisa In English Lyrics PDF

শ্রী শ্রী লক্ষ্মীদেবীর ব্রতকথা – প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীর পাঁচালী

দোল পূর্ণিমার নিশি নির্মল আকাশ ধীরে ধীরে বহিতেছে মলয় বাতাস।। লক্ষ্মী দেবী বামে লয়ে বসি নারায়ণ। কহিতেছেন নানা কথা সুখে আলাপন।। হেনকালে বীণা-হস্তে নারদ মুনিবর। লক্ষ্মী-নারায়ণে নমি কহিল বিস্তর || ঋষি বলে, মাগো তব কেমন বিচার। সর্বদা চক্চলা হয়ে ফির দ্বারে দ্বার।। মর্তবাসী সদা তাই ভুগিছে দুর্গতি। ক্ষণেকের তরে তব নাহি কোথা স্থিতি। অন্নাভাবে মাগাে তারা সদা দুঃখ পায়।

অন্ন বিনা সবাকার জীর্ণ শীর্ণকায়নারদের বাক্য শুনি লক্ষ্মী ঠাকুরাণী।সঘনে নিঃশ্বাস ত্যজিকহে মূদুবাণী।। কভু না কাহারও প্রতি আমি করি রোষ। মর্তবাসী দুঃখ পায় নিজ কর্মদোষ৷৷ যাও তুমি কষিবর ত্রিলোক -ভ্রমণে। ইহার বিধান আমি করিব যতনে। অতঃপর চিত্তি লক্ষ্মী, নারায়ণে কয়। কিরূপে হরিব দুঃখ কহি দয়াময়।। হরি কহে, শুন সতী বচন আমার। মর্তধামে লক্ষ্মীব্রত করহ প্রচার৷ প্রতি বৃহস্পতিবারে মিলি যত এয়ােগণে।

সন্ধ্যাকালে পুজি কথা শুনিবে শ্রবণে। বাড়িবে ঐশ্বর্য তাহে তােমার কৃপায়। দুঃখ-কষ্ট দূরে যাবে তােমার দয়ায়।। শ্রীহরির বাক্যে লক্ষ্মী আনন্দিত মনে। মর্তাধামে চলিলেন ব্রত প্রচারণে।। অবন্তী নগরে লক্ষ্মী হৈয়া উপনীত। দেখিয়া শুনিয়া হন বড়ই স্তম্ভিত। নগরের লক্ষপতি ধনেশ্বর রায়। অগাধ ঐশ্বর্য্য তার কুবেরের প্রায়।। সােনার সংসার তার শূন্য হিংসা ঘেষ। প্রজাগণে পালিত সে পুত্র নির্বিশেষ।। এক অঙ্গে সাতপুত্র রাখি ধনৈশ্বর।

যথাকালে সসম্মানে গেল লােকান্তর।। পিতার মৃত্যুর পর সপ্ত-সহােদর। ভার্যার কুহকজালে হৈল স্বতন্তর || ক্রমে ক্রমে লক্ষ্মীদেবী ছাড়িল সবার। সােনার সংসার সব গেল ছারখারে। বৃদ্ধা ধনেশ্বর-পত্নীনা পারি তিষ্ঠিতে। গহন কাননে যায় পরাণ তাজিতে।। হেনকালে ছুগ বেশে দেবী নারায়ণী। বন মধ্যে উপনীত হলেন আপনি।। মধুর বচনে দেবী জিজ্ঞাসে বৃদ্ধারে। কি জন্য এসেছ তুমি গহন কাস্তারে।।কাদিতে কদিতে বৃদ্ধা অতি দুঃখভরে।

তাহার ভাগ্যের কথা বলিল পীরে।। সহিতে না পারি আর সংসার যাতনা। তাজিব জীবন আমি করেছি বাসনা।। লক্ষ্মীদেবী বলে, শুন আমার বচন। আত্মহত্যা মহাপাপ নরকে গমন। গৃহে ফিরে গিয়া তুমি কর লক্ষ্মীব্রত। সব দুঃখ দূরে যাবে হবে পুর্বমত || মনেতে লগীর মূর্তি করিয়া চিন্তন। একমনে ব্রতকথা করিবে শ্রবণ। যেই গৃহে ওরুবারে লক্ষ্মীব্রত গৃহে থাকে লক্ষ্মী জানিও নিশ্চয়। বলিতে বলিতে লক্ষ্মী নিজ মূর্তি ধরি। বৃদ্ধারে দর্শন দিল লক্ষ্মী কৃপা করি।।

ভূমি লােটাইয়া বৃদ্ধা প্রণাম করিল। আনন্দিত মনে বৃদ্ধা গুহেতে ফিরিল। বধুদের ডাকি বৃদ্ধা করিল বর্ণন। যেরূপে ঘটিল তার দেবী দরশন।। ব্রতের বিধান সব বন্ধুদের বলে। শুনি বধুগণব্রত করে কৃতুহলে।৷ বধুদের লয়ে বৃদ্ধা করে লক্ষ্মীব্রত। হিসাে দ্বেষ স্বার্থ ভাব হৈল তিরােহিত। মা লক্ষ্মীকরেন তথা পুনরাগমন। অচিরে হইল গৃহ শান্তিনিকেতন। দৈবযােগে কেদিন বৃদ্ধার আলয়ে। উপনীত এক নারী ব্রতের সময়ে।। ব্রতকথা শুনি তার ভক্তি উপজিল। লক্ষ্মীব্রত করিবারে মানস করিল।।

স্বামী তার চিররুগ্ন অক্ষম অর্জনে। ভিক্ষা করি যাহা পায় খায় দুইজনে। এই কথা চিন্তি নারী করিল কামনা। স্বামীরেনীরােগল্পচরণে বাসনা। গৃহে ফিরি সেই নারী করে লক্ষ্মীব্রত। ভক্তিভারে সাধ্বী নারী পূজে বিধিমত৷ দেবীর কৃপায় তার দুঃখ হৈল দূর। পুতি হৈল সুস্থ দেহ, ঐশ্বর্য্য প্রচুর।। কালক্রমে শুভদিনে জন্মিল তনয়। সংসার হইল তার সুখের আলয়।। এই রূপে লক্ষ্মীব্রত করে ঘরে ঘরে। প্রচারিত হয় ক্রমে অবস্তী নগরে।।

Laxmi Panchali in Bengali
Laxmi Panchali in Bengali

শুন শুন এয়ােগণ অপূর্ব ব্যাপার। ব্রতের মাহাত্ম যাতে হইল প্রচার।। অবস্ত্রী নগরে এক গৃহস্থ ভবনে। এয়ােগণ লক্ষ্মীব্রিত করে একমনে || অকস্মাৎ এলাে সেথা বণিক তনয়। দাঁড়াইল সেই স্থানে ব্রতের সময়।। ধনৈশ্বর্য্যে পূর্ণ গৃহ ভাই পঞ্চজন। পরস্পর অনুগত রয় সর্বজন।। ব্ৰত দেখি হেলা করি বণিক তনয়। বলে, একি ব্রত ইথে কিরা ফলােদয়।। বণিকের বাক্য শুনি বলে বামাগণ। লক্ষ্মীব্রত করি ইথে কামনা পূরণ।। এই ব্রত যে করিবে ধনে জনে তার। লক্ষ্মীর কৃপায় হবে সােনার সংসার। 

শুনি তাহা সদাগর বলে অহস্কারে। যে জন অভাবে থাকে সে পূজে উহারে।। ধনৈশ্বর্য ভােগ আদি যা কিছু সম্ভবে। সবই তাে আমার আছে আর কিবা হবে। ভাগ্যে না থাকিলে লক্ষ্মী কিবা দিবে ধন। হেন কথা কভু আমি না শুনি কখন। অহঙ্কার-বাক্য লক্ষ্মী সহিতে না পারে। গর্বেরকারণে লক্ষ্মী ছাড়িল তাহারে।। ধনমদেমত্ত হয়ে লক্ষ্মী করি হেলা। নানা রত্ন পূর্ণ তরী বাণিজ্যেতে গেলা দৈবযোগে লক্ষ্মী কোপে সহ লােকজন। সপ্ততরী জল মধ্যে হইল নিমগন।।

গৃহমধ্যে ধনৈশ্বর্য যা ছিল তাহার। বজ্রাঘাতে দ্ধ হয়ে হৈল ছারখার।দূরে গেল ভ্ৰাতৃভাব হৈল ভিন্ন ভিন্ন। সােনার সংসার তার হইল বিপন্ন।। ভিক্ষাজীবী হয়ে সবে ফিরে দ্বারে দ্বারে। পেটের জ্বালায় ঘােরে দেশ-দেশান্তরে।। এরূপ হইল কেন বুঝিতে পারিল। কেঁদে কেঁদে লক্ষ্মী স্তব করিতে লাগিল।। সদয়া হলেন লক্ষ্মী তাহার উপরে। পুনরায় কৃপাদৃষ্টি দেন সদাগরে। মনে মনে মা লক্ষ্মীরে করিয়া প্রণাম। ব্রতের সঙ্কল্প করি আসে নিজ ধাম।।

লক্ষ্মীব্রত করে সাধুলয়ে বধুগণ। সাধুর সংসার হৈল পূর্বের মতন। এইরূপে লক্ষ্মীব্রত মর্ত্যেতে প্রচার। সদা মনে রেখাে সবে লক্ষ্মীব্রত সার।I-এই ব্রত যেই নারী করে একমনে। লক্ষ্মীর কৃপায় সেইবাড়ে ধনে-জনে।যােড়করি সবে ভক্তিযুক্ত মনে। লক্ষ্মীরে প্রণাম কর যে থাক যেখানে ব্রতকথা যেবা পড়ে, যেবা রাখে ঘরে। লক্ষ্মীর কৃপায় তার মনােবাঞ্ছা পুরে।।

লক্ষ্মীর ব্রতের কথা বড় মধুময়। প্রণাম করিয়া যাও যে যার আলয়। লক্ষ্মীব্রতকথা হেথা হৈল সমাপন। মনের আনন্দে বল লক্ষ্মী-নারায়ণ।।
—ঃ অথ লক্ষ্মীর পাঁচালী সমাপ্ত ঃ- 

[ FREE Download PDF ] Laxmi Panchali in Bengali | দোল পূর্ণিমা নিশি নির্মল আকাশ – লক্ষ্মীর পাঁচালী

আপনার সুবিধার জন্য বাংলায় শ্রী শ্রী লক্ষ্মীদেবীর ব্রতকথা PDF (laxmi panchali lyrics in bengali) দেওয়া হল। আপনি নীচের ডাউনলোড বোতামে ক্লিক করে এটি প্রিন্ট নিতে বা অফলাইনে পাঠ করতে পারেন। বিশেষত বৃহস্পতিবার দেবী লক্ষ্মীকে উৎসর্গ করা হয়। তাই এই বিশেষ দিনকে লক্ষ্মীবারও বলা হয়ে থাকে ( Thursday Special ) . বৃহস্পতিবার শ্রী শ্রী লক্ষ্মী পাঁচালী পাঠ করা অত্যন্ত শুভ। প্রতি বৃহস্পতিবার বাড়িতে লক্ষ্মী পূজার পরে লক্ষ্মী পাঁচালী পাঠ করা উচিত। লক্ষ্মী পাঁচালী PDF এর জন্য এখনই ডাউনলোড বোতামে ক্লিক করুন।

আরো পড়ুন –

উপসংহার – আশা করি আপনি আজকের পোস্ট থেকে উপকৃত হয়েছেন ( Laxmi Panchali in Bengali | দোল পূর্ণিমা নিশি নির্মল আকাশ – লক্ষ্মীর পাঁচালী )। শ্রী লক্ষ্মী দেবীর কৃপায় আপনার জীবনের সকল কষ্ট দূর হোক। আপনি যদি বিধি অনুযায়ী শ্রী মহালক্ষ্মীর পূজা আরাধনা করেন, তাহলে আপনার জীবন সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে, আপনার সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়। আপনি যদি এই নিবন্ধটি থেকে উপকৃত হন, একটি মন্তব্য রেখে আমাদের উৎসাহিত করুন.

আরো ধর্মীয় তথ্য জানতে নিচে ক্লিক করুন

Read More

Sharing Is Caring:

Leave a Comment